ক্ষারকীয় অক্সাইড, আম্লিক অক্সাইড, উভধর্মী অক্সাইড, প্রশম অক্সাইড




🌐 ক্ষারকীয় অক্সাইড বা ধাতব অক্সাইড কাকে বলে ?

- যেসব অক্সাইড জলে দ্রবীভূত হয় ক্ষার উৎপন্ন করে এবং অ্যাসিডের সঙ্গে বিক্রিয়ায় লবণ ও জল উৎপন্ন করে তাদের হাতে ধাতব বা ক্ষারকীয় অক্সাইড বলে।

যেমন - সোডিয়াম মনোক্সাইড(Na²O) ,ক্যালসিয়াম অক্সাইড (CaO), ম্যাগনেসিয়াম অক্সাইড ( MgO) ইত্যাদি হল ক্ষারকীয় অক্সাইড।

Na²O  +  H²O  =  2NaOH ( ক্ষার )

Na²O( ক্ষারকীয় অক্সাইড)  +  H²SO⁴ ( অ্যাসিড ) = Na²SO⁴ ( লবণ ) + H²O

🌐 আম্লিক অক্সাইড বা অধাতব অক্সাইড কাকে বলে ?

- যেসব অক্সাইড জলে দ্রবীভূত হলে অ্যাসিড উৎপন্ন করে এবং ক্ষারের সাথে বিক্রিয়ায় লবণ ও জল উৎপন্ন করে তাদের পদার্থ বা আম্লিক অক্সাইড বলে।

 যেমন কার্বন ডাই অক্সাইড (CO²), সালফার ডাই অক্সাইড (SO²), ফসফরাস পেন্টা অক্সাইড (P²O⁵) ইত্যাদি আম্লিক অক্সাইড।


🌐 উভধর্মী অক্সাইড কাকে বলে ?

- যেসব অক্সাইড অ্যাসিড এবং ক্ষার উভয়ের সঙ্গে বিক্রিয়ায় লবণ ও জল উৎপন্ন করে, তাদের উভধর্মী অক্সাইড বলে। এই ধরনের অক্সাইড এর মধ্যে ক্ষারকীয় এবং আম্লিক উভয় গুন বর্তমান।
 
যেমন , জিংক অক্সাইড (ZnO) ,অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড (Al²O³)  উভধর্মী অক্সাইড।


🌐 প্রশম অক্সাইড কাকে বলে ?

- যেসব অক্সাইড অ্যাসিড বা ক্ষার কারো সঙ্গে বিক্রিয়া করে না তাদের প্রশম অক্সাইড বলে।

এই সমস্ত অক্সাইড জলীয় দ্রবণ লিটমাস এর বর্ণ পরিবর্তন ঘটায় না। যেমন, জল (H²O), নাইট্রাস অক্সাইড (N²O), কার্বন মনো অক্সাইড (CO)।

Tags
অ্যাসিড ক্ষার লবণ ভৌত বিজ্ঞান রেলওয়ে স্পেশাল NOTES

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad