⏩ পদার্থ ও বস্তু কাকে বলে ? উদাহরণ দাও।
পদার্থ: যা ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য, যার ভর আছে এবং যা কিছু পরিমাণ স্থান দখল করে থাকে, তাকে পদার্থ বলে।
যেমন—জল, বায়ু, লোহা, তামা, অক্সিজেন প্রভৃতি হল পদার্থ
বস্তু : নির্দিষ্ট জ্যামিতিক আকারের পদার্থকে বস্তু (body) বলে।
অর্থাৎ, বস্তুর উপাদান হল পদার্থ।
যেমন: কাঠ একটি পদার্থ এবং কাঠের তৈরি চেয়ার, বেঞ্চ, টেবিল প্রভৃতি হল বস্তু।
⏩ অভিকর্ষ এবং অভিকর্ষজ ত্বরণের সংজ্ঞা দাও।
🔸মহাবিজ্ঞানী নিউটনের মহাকর্ষ সূত্র অনুসারে বিশ্বের যে-কোনো দুটি বস্তু পরস্পর পরস্পরকে আকর্ষণ করে। এই আকর্ষণকে মহাকর্ষ বলে। অভিকর্ষ বলতে পৃথিবীর মহাকর্ষ বোঝায়।
■ অভিকর্ষ : পৃথিবীর ওপরে বা পৃথিবীর কাছাকাছি থাকা প্রত্যেক বস্তুকে পৃথিবী নিজের কেন্দ্রের দিকে আকর্ষণ করে। পৃথিবীর এই আকর্ষণ বলকে অভিকর্ষ বলে।
পৃথিবীর এই অভিকর্ষের জন্যই কোনো বস্তুকে ওপরের দিকে ছুঁড়ে দিলে বস্তুটি আবার পৃথিবী পৃষ্ঠে ফিরে আসে।
■ অভিকর্ষজ ত্বরণ : অভিকর্ষের ক্রিয়ায় অবাধে ভূপৃষ্ঠে পতনশীল বস্তুর সময়ের সাপেক্ষে বেগ বৃদ্ধির হারতে অভিকর্ষজ ত্বরণ বলে। একে 'g' অক্ষর দিয়ে প্রকাশ করা হয়। পৃথিবী পৃষ্ঠের বিভিন্ন স্থানে অভিকর্ষজ ত্বরণের মান বিভিন্ন হয়।
• পৃথিবী পৃষ্ঠে অভিকর্ষজ ত্বরণের গড় মান কত ?
S.I পদ্ধতিতে 9.81 মিটার/সেকেন্ড এবং C.G.S পদ্ধতিতে 981 সেমি/সেকেন্ড।
⏩ অভিকর্ষ বল এবং অভিকর্ষজ ত্বরণের মধ্যে সম্পর্ক কী?
🔸অভিকর্ষ বলের সঙ্গে অভিকর্ষজ ত্বরণের সম্পর্ক : নিউটনের দ্বিতীয় সূত্র অনুসারে, প্রযুক্ত বল = ভর × ত্বরণ।
সুতরাং, কোনো বস্তুর ভরের সঙ্গে স্থানীয় অভিকর্ষজ ত্বরণ গুণ করলে অভিকর্ষ বলের পরিমাণ পাওয়া যায়। অর্থাৎ কোনো বস্তুর ভর = m এবং স্থানীয় অভিকর্ষজ ত্বরণ = g হলে, বস্তুর উপর প্রযুক্ত অভিকর্ষ বল = বস্তুর ভর × অভিকর্ষজ ত্বরণ =m × g
0 Comments