শব্দ কী ? শব্দের উৎস কাকে বলে?
Ans. কম্পনশীল কোনো বস্তু থেকে উৎপন্ন যে শক্তি জড় মাধ্যমের মধ্য দিয়ে তরঙ্গরূপে আমাদের কানে পৌঁছায় এবং মস্তিষ্কে শ্রবণের অনুভূতি সৃষ্টি করে, তাকে শব্দ (Sound) বলে।
• শব্দের উৎস (Source of Sound) :
যে-কোনো কম্পনশীল বস্তুই হল শব্দের উৎস। শব্দের উৎসকে স্বনক বলে। স্বনক, কঠিন, তরল ও গ্যাসীয় হতে পারে। যেমন, বেহালার তার টেনে ছেড়ে দিলে, পুকুরের জলে একটি পাথর ফেললে কিংবা বাঁশিতে ফুঁ দিলে শব্দের সৃষ্টি হয়। এখানে বেহালার কম্পমান তার, পুকুরের জলের কম্পন, বাঁশির মধ্যের কম্পমান বাতাস প্রভৃতি হল শব্দের উৎস বা স্বনক। আমরা যখন শব্দ সৃষ্টি করি তখন আমাদের গলার স্বরযন্ত্রে থাকা দুটি পাতলা পর্দার কম্পনের ফলে শব্দ উৎপন্ন হয়। পশু-পাখির ডাক, বাজ পড়া প্রভৃতি শব্দের প্রাকৃতিক উৎস।
দেখাও যে, কম্পনের ফলে শব্দের সৃষ্টি হয়।
Ans. পরীক্ষাগারে বায়ু মাধ্যমে কম্পমান সুরশলাকা (tuning fork) শব্দের প্রধান উৎস। সুরশলাকা হল ইস্পাতের তৈরি U আকারের একটি দন্ড, যার বাঁকানো জায়গার মাঝখানে একটি ইস্পাতের হাতল যুক্ত থাকে।
• সুরশলাকার পরীক্ষা :
জড় বস্তুর কম্পন ছাড়া শব্দের উৎপত্তি হতে পারে না। স্বনকের কম্পনে যে শব্দের সৃষ্টি হয় তা প্রমাণ করতে পরীক্ষাগারে একটি সুরশলাকা, একটি শোলার বল, স্ট্যান্ড ও রবারের হাতুড়ির প্রয়োজন হয়। কাঠের তৈরি কোনো ফাঁপা বাক্সের ওপর একটি সুরশলাকা সোজাভাবে বসানো থাকে। একটি দন্ড থেকে সরু সুতোর সাহায্যে একটি হালকা শোলার বলকে ঝুলিয়ে সুরশলাকার একটি বাহুর সঙ্গে স্পর্শ করে রাখা হয়। এই অবস্থায় সুরশলাকার অপর বাহুকে রবারের হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করলে শব্দের সৃষ্টি হয় এবং দেখা যাবে যে, শোলার বলটি সুরশলাকার বাহুর গায়ে বারবার ধাক্কা খেয়ে দূরে ছিটকে যাচ্ছে। এ থেকে বোঝা যায়—সুরশলাকার বাহু দুটি কম্পিত হয়ে শব্দের সৃষ্টি করছে।
No comments:
Post a Comment