⏩ আদি নিউক্লিয় কোশ বা প্রোক্যারিওটিক কোশ (Prokaryotic cell গ্রীক Pro = আদি, Karyon = নিউক্লিয়াস) :
যে সকল কোশে নিউক্লিয়াসটি সংগঠিত নয় (অর্থাৎ নিউক্লিয় পর্দা, নিউক্লিয়প্লাজম, নিউক্লিওলাস, নিউক্লিয়জালক থাকে না), কোশে পর্দাঘেরা কোশ-অঙ্গাণু থাকে না, ক্রোমোজোম গঠিত হয় না, তাদের আদি নিউক্লিয় কোশ বা প্রোক্যারিওটিক কোশ বলে।
যেমন—–ব্যাকটিরিয়া, নীলাভ সবুজ শৈবাল (অ্যানাবেনা, নস্টক), মাইকোপ্লাজমা ইত্যাদি।
⏩ প্রোক্যারিওটিক কোশের বৈশিষ্ট্য
(1) এই প্রকার কোশ খুব ক্ষুদ্র (মাইকোপ্লাজমা 01-0.25 am এবং ব্যাকটিরিয়া 0.2-0.3 am)।
(ii) জনন বস্তুর বাইরে কোনো আবরণ থাকে না, DNA যুক্ত কোশীয় মধ্যাংশকে নিউক্লিওয়েড বা জেনোফোর বলে।
(iii) এই প্রকার কোশের সাইটোপ্লাজমে পর্দাঘেরা কোশ-অঙ্গাণু থাকে না।
(iv) রাইবোজোমগুলি সাইটোপ্লাজমে ছড়ানো থাকে, রাইবোজোম 705 প্রকৃতির।
(v) কোশপ্রাচীরের মুখ্য উপাদান পেপটাইডোগ্লাইক্যান।
(vi) শ্বাস উৎসেচক সাইটোপ্লাজমে বা প্লাজমা পর্দার অন্তঃগাত্রে অবস্থান করে।
(vii) সালোকসংশ্লেষীয় বঙক উপস্থিত থাকলে তা থাইলাকয়েড বা ল্যামেলি নামক অঙ্গাণুর মধ্যে কারণ এদের প্লাস্টিড থাকে না।
(viii) কোশপর্দা কখনও কখনও সাইটোপ্লাজমে প্রবেশ করে মেসোজোম নামক অঙ্গাণু সৃষ্টি করে।
(ix) কোশে ক্রোমোজোম গঠিত হয় না এবং মাইটোটিক অ্যাপারেটাস
(x) কোশে ভ্যাকুওল সৃষ্টি হয় না।
(xi) কোশে হিস্টোন জাতীয় ক্ষারীয় প্রোটিন থাকে না।
(xii) সাইটোপ্লাজমে কোনো প্রকার চলন পরিলক্ষিত হয় না।
আদি নিউক্লিয় কোশযুক্ত জীবকে প্রোক্যারিওট (Prokaryote) বলে।
0 Comments