১০৫ তম সংবিধান সংশোধনী আইন Correction Indian Constitution ,105th Correction

 

⏯️ ১০৫তম সংবিধান সংশোধনী আইন -

সম্প্রতি লোকসভা এবং রাজ্যসভায় পাশ হল ১২৭তম সংবিধান সংশোধনী বিল এবং তাতে রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করায় তা ১০৫তম সংবিধান সংশোধনী আইনে পরিণত হল। এই আইনের বলে রাজ্যগুলি নিজেরাই নিজস্ব ওবিসি বা অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির তালিকা প্রস্তুত করতে ন্যাশনাল কমিশন ফর ব্যাকওয়ার্ড ক্লাসের অনুমতি গ্রহণ করতে হবে না। 

এর জন্য ভারতীয় সংবিধানের ধারা ৩৪২-এ এবং ৩৪২-এ (৩) সংশোধন করা হল। এবার থেকে এই সংক্রান্ত ধারা সপ্তম তফশিলের রাজ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হল। এছাড়া এর জন্য ধারা ৩৬৬(২৬সি) এবং ৩৩৮-বি(৯) তেও সংশোধন করা হল। 

পূর্বে ২০১৮ সালে ১০২তম সংবিদান সংশোধনীর মাধ্যমে ভারতীয় সংবিধানে ৩৩৮-বি ধারা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল যেখানে ন্যাশনাল কমিশনের গঠন, কর্তব্য এবং ক্ষমতা উল্লেখ করা হয়েছিল। অন্যদিকে, ৩৪২-এ ধারাতে রাষ্ট্রপতি এবং সংসদকে ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছিল সামাজিক এবং অর্থনৈতিকভাবে অনগ্রসর শ্রেণিকে তালিকাভুক্ত করার যা রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় তালিকায় সমস্যার সৃষ্টি করেছিল যা এই সংবিধান সংশোধনী আইনের মাধ্যমে দূর করা হল। কিছুদিন পূর্বেই সুপ্রিম কোর্টের আদেশানুসারে মারাঠা কোটা বাদ পড়ে সংরক্ষণের তালিকা থেকে এবং সুপ্রিম কোর্ট জানায় সামাজিক এবং পিছিয়ে পড়া শ্রেণির তালিকায় কোনো জাতিকে অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষমতা সংবিধান অনুযায়ী কেন্দ্রের রয়েছে এবং এই অন্তর্ভুক্তিকরণের ক্ষমতা রাজ্য সরকারের নেই। তাই এইক্ষেত্রে রাজ্য সরকারগুলিকে সুবিধা প্রদান করা হল যাতে তারা অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির তালিকা নিজেরাই প্রস্তুত করতে পারে। 

বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি এবং রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরির ক্ষেত্রে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির জন্য ২৭% সংরক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। কোনো সংবিধান সংশোধনী বিলকে আইনে পরিণত করতে সংসদের উভয় কক্ষতে মোট সাংসদের ২/৩ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় বিল পাশ করতে হয় এবং সংবিধান সংশোধনী বিলের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করতে বাধ্য থাকে।

Post a Comment

0 Comments