📚 শক্তির সংকট বলতে কী বোঝায়
🔸 বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অসামান্য উন্নতির ফলে বিশ্ব-মানব সভ্যতা যান্ত্রিক স্তরে আজ উন্নতির যে মাত্রা লাভ করেছে তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এগোতে গেলে অত্যধিক মানের শক্তির ব্যবহার প্রয়োজন।
প্রথাগত ভাবে চালু শক্তির উৎস সমূহ, যেমন, কয়লা, পেট্রোলিয়াম প্রভৃতি মাত্রাতিরিক্ত হারে ব্যবহার করেও শক্তি উৎপাদনের প্রয়োজনীয় হার বজায় রাখা অনেক ক্ষেত্রেই অসম্ভব হয়ে উঠেছে।
এর কারণ এই প্রথাগত শক্তির উৎস সমূহ একদিকে যেমন পুনঃউৎপাদন যোগ্য নয়, অন্যদিকে জীবাশ্ম জ্বালানির ভাণ্ডার ক্রমেই নিঃশেষিত হয়ে আসছে। বিশ্বব্যাপী পেট্রোলিয়ামের জোগান আর মাত্র 30 থেকে 60 বছর বজায় থাকবে। অন্যদিকে বর্তমান হারে শক্তির ব্যবহার চলতে থাকলে কয়লার জোগান প্রায় 250 বছর বজায় থাকতে পারে। খনিজ তেল, পেট্রোলিয়াম, প্রাকৃতিক গ্যাস প্রভৃতি অনবীকরণযোগ্য শক্তি উৎসের ক্রমাগত ব্যবহারের ফলে ভূগর্ভের মজুত জ্বালানির ভাঙার প্রায় শেষ হয়ে এসেছে।
কিন্তু বর্তমানে ব্যাপক শিল্পায়ন, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা এবং সভ্যতার অগ্রগতি পাশাপাশি শক্তির চাহিদা ক্রমেই বেড়ে চলেছে।
তাই শক্তির এই বিপুল চাহিদা মেটানোর ক্ষেত্রে বর্তমানে প্রয়োজন অনুযায়ী শক্তি জোগান দেওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এর পরে প্রচলিত, তথা অনবীকরণ যোগ্য শক্তি উৎসগুলিসম্পূর্ণ নিঃশেষিত হয়ে যাবে। তখন সারা পৃথিবী যে সংকটের মুখোমুখি হবে তাকেই বলা হয় শক্তির সংকট।